বুধবার ● ১৮ নভেম্বর ২০২০
প্রচ্ছদ » জাতীয় » ঠাকুরগাঁওয়ে মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনাসভা
ঠাকুরগাঁওয়ে মওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনাসভা
দেশায়ন ডেস্ক: মাওলানা ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী স্মৃতি পাঠাগার ও ইএসডিও’র যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁওয়ে রচনা প্রতিযোগিতা, লোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঠাকুরগাঁও কলেজ পাড়াস্থ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী স্মৃতি পাঠাগার মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মনসুর আলীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা আনিসুল হক চৌধুরী, ভাসানী স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম হোসেন, প্রভাষক ড. গোলাম সারোয়ার সম্রাট, সাবেক ক্রীড়া অফিসার আবু মহীউদ্দীন, অ্যাড. জাহিদ ইকবাল, খলিলুর রহমান , ইএসডিও’র এপিসি অর্থ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন মো. শাহীন। ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মো. মনসুর আলী বলেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সমাজের তৃণমূল মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি সমাজবাদী চিন্তা করে তিনি মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। শোষণমুক্ত এক সমতাভিক্তিক সমাজ গড়তে চেয়েছেন। তাই এই মহান নেতার আদর্শ এবং চেতনা আজ নবপ্রজন্ম এবং তরুনদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা চেতনা-জীবন দর্শন নিয়ে আমাদের পড়াশুনা করা উচিত। আরো বেশী করে এমন অনুষ্ঠান করা উচিত। আলোচনায় বক্তারা বলেন, মাওলানা ভাসানী ছিলেন এমন নেতা যার কোন বিকল্প কিংবা বিতর্ক নেই। তিনি সারাজীবন ক্ষমতার বাইরে থেকে সাধারণ মানুষের তথা খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে হক ভাসানীর যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৬৯ এর সফল গণঅভ্যূত্থান, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টাসহ প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা এবং মাওলানা ভাসানী একে অপরের পরিপূরক ছিলেন।
কাউকে বাদ দিয়ে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস লেখা যাবে না। মাওলানা ভাসানীকে আমরা যত বেশি মুল্যায়ন করব, আমাদের জাতির পিতা তত বেশি মূল্যায়িত হবে। মাওলানা ভাসানীর অতীত কর্মকা- আজও জাতি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।সবাইকে মাওলানা ভাসানীর আদর্শকে অনুসরণ করার আহ্বান জানান বক্তরা। পরে মজলুম জননেতার আত্মজীবনী নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।