বুধবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রচ্ছদ » অনুসন্ধানী » ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তপ্রায় নীলগাই উদ্ধার
দোশায়ন ডেস্ক: ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা কুলিক নদীতে পারাপারের সময় একটি গর্ভবতী নীলগাই আটক করে স্থানীয় কয়েজন যুবক। পরে জনৈক জাহিদের বাড়িতে রাণীশংকৈল যদুয়ার এলাকায় নিয়ে রাখা হয় ওই নীলগাইটিকে। বিলুপ্তপ্রায় এই নীলগাইটি পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে দলছুট হয়ে আসতে পারে।
মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার পটুয়া এলাকায় পথচারীরা ওই নীলগাইকে ধাওয়া দিলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৌঁড়ে কুলিক নদী পারাপারের সময় নদীতে জাহিদ, বুধু, মকবুলসহ প্রায় ৫০ এলাকাবাসী পানিতে নীলগাইটিকে আটকের চেষ্টা করে। এসময় বুধু ও মকবুল আহত হয়। পরে অনেক কষ্ট করে এলাকাবাসী ওই নীলগাইকে উদ্ধার করে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখে।
পরে খবর পেলে বন বিভাগের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, রাণীশংকৈল থানা পুলিশ উপস্থিত হয়। জাহিদের ভাই আবুবক্কর কোন অবস্থাতে নীলগাইটিকে হস্তান্তর করতে না চাইলে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরোজা ওই স্থানে উপস্থিত হয়ে আবু বক্করকে বুঝিয়ে নীলগাইটি বুঝে নেন। রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী আফরোজা এ প্রসঙ্গে বলেন, জেলা প্রশাসক মো. আখতারুজ্জামান মহোদয়ের নির্দেশে নীলগাইটিকে দ্রুত জাতীয় উদ্যানে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
নীলগাই উদ্ধার কারী জাহিদ বলেন, দ্রুতগতীতে আসা নীলগাইটি রাণীশংকৈল যদুয়ার এলাকায় কুলিক নদীর পানিতে পরে গেলে কয়েজন মিলে জীবনের ঝুকি নিয়ে উদ্ধার করে নিরাপদে স্থানে রাখি।
নীলগাইটি দীর্ঘদিন ধরে থাকা জঙ্গলের মালিক সদর উপজেলার পটুয়া ফকদরপুর এলাকাবাসী আকরাম বলেন, নীলগাইটিকে প্রায় ৩-৪ মাস ধরে ভুট্টার ক্ষেতে দেখেছিলেন। জঙ্গলের পাশে ধান ক্ষেত নষ্ট করলে মঙ্গলবার কয়েজন মিলে নীলগাইটিকে ধাওয়াদিলে নীলগাইটি পালিয়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নীলগাইটি দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে। এই প্রাণীটির যেন কোন সমস্যা না হয় সে দিকে বিশেষ ল্য রাখা হচ্ছে।
ঠাকুরাগাঁও জেলা প্রশাসক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নীলগাইটি এলাকাবাসী আটক করার সময় কিছুটা অসুস্থ হয়ে পরে। ঠাকুরগাঁওয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় উদ্ধারকৃত নীলগাইটি চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর জাতীয় উদ্যানে পাঠানো হয়েছে। নীলগাই সুস্থ হলে সেটি কোথায় পাঠালে ভাল হয় বন বিভাগের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।