শনিবার ● ১৩ জুন ২০২০
প্রচ্ছদ » ঠাকুরগাঁও » ঠাকুরগাঁওয়ে দুই শিশুকে পা বেঁধে নির্যাতন : মাকে হুমকি-কু প্রস্তাব
ঠাকুরগাঁওয়ে দুই শিশুকে পা বেঁধে নির্যাতন : মাকে হুমকি-কু প্রস্তাব
দেশায়ন ডেস্ক: মোবাইল ফোন চুরির আপবাদ দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় দুই শিশুকে বেঁধে নির্মম এবং পাষবিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামের ইউপি সদস্যসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা করা হয় বলে জানান। এক শিশু সুমনের মা শরিফা খাতুন অভিযোগ করে বলেন থানায় এজাহার করার ৭ দিন গত হলেও ১২ জুন পর্যন্ত দোষীরা এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে ।
শরিফা জানান, তার স্বামীর বড় ভাই মোতালেব আলী তাকে খারাপ প্রস্তাব দেয়। এতে তিনি রাজি হননি। শেষে প্রতিশোধ নিতে ১২ বছর বয়সী ছেলে সুমন ও চাচাতো দেবরের ছেলে শিশু কামরুল ইসলামকে গত ২২ মে মোবাইল ফোন চুরির মিথ্যে অপবাধ দিয়ে অভিযোগ আটক করে গ্রামে সালিশ বৈঠক আয়োজন করে। ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম নেতৃত্বে মোতালেব আলীসহ আরও কয়েকজন আমার ছেলে ও কামরুলের হাত পা বেঁধে লাঠি দিয়ে অমানুসিক নির্যাতন ও মারপিট করে। এতে ওই দুই শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। উল্টো নির্যাতনকারীরাই সেটি ভিডিও ধারণ তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ।কিন্তু তাদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে টাকার বদলে বাড়ি থেকে একটি গরু নিয়ে যায়। এই ঘটনায় গত শুক্রবার (৫ জুন) পীরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শরিফা খাতুন।
স্থানীয় বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম বলেন, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে দুই শিশুর ওপর বর্বর নির্যাতন চলায় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। শিশু দুটি চিৎকার করে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও তাদের নির্মম পেটানো হয়।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, আব্দুল লতিফ নামে এক ব্যক্তির একটি মোবাইল ফোন চুরি করে ওই দুই শিশু। এর আগেও তারা নানা রকম অপরাধ করেছে। পারিবারিক ভাবে তাদের শাসন করা হচ্ছিল। তা ছাড়া যার মোবাইল ফোন চুরি হয় তিনি তাদের ক্ষুব্ধ হয়ে মারপিট করেছেন, আমি করি নাই। শরিফা আমার এবং মোতালেবসহ একই পরিবারের ৬ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করেছে ।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামসহ তার সহযোগিরা মিলে দুই শিশুকে হাত-পা বেঁধে যেভাবে নির্যাতন করেছেন। এটি বড় ধরনের অপরাধ।
পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, শিশুদের নির্যাতন করাটা অন্যায় হয়েছে। মামলার আসামিরা কেউ এলাকায় নেই, তাদেরকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।