সোমবার ● ১২ নভেম্বর ২০১৮
প্রচ্ছদ » উন্নয়ন-সম্ভাবনা » সোনালি শৈশব বিদ্যানিকেতনে শিশু মেলা অনুষ্ঠিত
সোনালি শৈশব বিদ্যানিকেতনে শিশু মেলা অনুষ্ঠিত
দেশায়ন ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ে সোনালি শৈশব বিদ্যানিকেতনে সোনালি শিশু মেলা-২০১৮ এবং উন্মেক্ত দিবস অনুষ্ঠিত হয়। রোববার দিন ব্যাপি আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহরের শান্তিনগরে অবস্থিত সোনালি শৈশব বিদ্যানিকেতন আয়োজিত এই শিশু মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক বিশ্ব ব্যাংক কর্মকর্তা ড. মো. রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু বকর ছিদ্দিক, নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আব্দুল কাইয়ুম খান, সাপ্তাহিক সংগ্রামী বাংলা’র সম্পাদক আব্দুল লতিফ, অধ্যক্ষ মুহম্মদ জালাল উদ-দীন, প্রধান শিক্ষক প্রফুল্ল কুমার রায়, দেশায়ন পত্রিকার সম্পাদক ও শব্দশিল্প ঘর প্রকাশনীর কর্ণধার প্রভাষক গোলাম সারোয়ার সম্রাট।
প্রথমে সকাল সাড়ে নয়টায় আনন্দ র্যালি স্কুল চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদাক্ষিণ করে আবার বিদ্যালয়ে ফিরে আসে। বিকালে আলোচনা পর্বে শুরুতে পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কোরান এবং গীতা থেকে পাঠ করে স্কুলের শিশুরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গীত পরিবেশন ও অতিথিদের অভ্যর্থনা এবং রঙ-বেঙরের বেলুন উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব’র সূচনা হয়। প্রথমেই বিদ্যালয় প্রতিবেদন পাঠ করেন উপাধ্যক্ষ আঞ্জুমান আরা মুক্তা।
আলোচনায় প্রধান অতিথি ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, আজকের সকালটা আমার সুসংবাদ দিয়ে শুরু হয়েছে। সোনালি শৈশব নামের এই বিদ্যালয়ে এসে এখানে এই শিশুদের মাঝে এসে খুব ভালো লাগছে। তাই আমি ড. মো. রিয়াজুল ইসলামকে নিজ এলাকায় এমন সুন্দর একটি বিদ্যালয় করার জন্য সাধুবাদ জানাই। সাধারণ শিক্ষা ভাবনা থেকে বের হয়ে এখানে নতুন কিছু করবার চেষ্টা চলছে। সরকারি দু’টি বিদ্যালয় ছাড়াও আরো প্রতিযোগিতা মূলক বিদ্যালয় গড়ে উঠছে। এটা সুখের কথা। আমি আশা করবো শিশুরা এখানে তাদের নিজ নিজ প্রতিভা নিয়ে বেড়ে উঠবে। তারা ডাক্তার, ইাঞ্জিনিয়ার ছাড়াও অন্যান্য পেশাতে আগ্রহী হবে। তারা ভালো সাংবাদিক হতে পারে। বা তাদের পছন্দের পেশায় উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে নিতে পারে। এই বিদ্যানিকেতনের সার্বিক উন্নয়ন হোক। সবাই মননশীলতার দিকে এগিয়ে যাবে, এই কামনা।
বিশেষ অতিথি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, শিশুদের অভিভাবকদেও উদ্দেশ্যে বলতে চাই লেখা-পড়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জীবন মুখী জ্ঞান অর্জন করতে পারলে জীবনে ভালো মানুষ হওয়া সম্ভব। এখানকার পরিবেশ দেখে মনে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হয়। এখানকার শিক্ষকরা মা-বাবা’র মত নিজের করে স্নেহময়ী হয়ে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা দেন। এটা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। শিক্ষকদের এবং অধ্যক্ষকে এ কারণে ধন্যবাদ জানাই। অবশ্যই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ড. মো. রিয়াজুল ইসলাম নিজ জমিতে স্কুল প্রায় ১২ বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন । এই বিদ্যালয় দিন দিন এগিয়ে যাবে এর মঙ্গল কামনা করছি। সকলের সুস্বাস্থ কামনা করি।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে ‘সোনালি শিশু মেলা-২০১৮ এবং উন্মেক্ত দিবস’ উপলক্ষে বর্ণিল রঙে সজ্জিত প্রাঙ্গণ ছিল দৃষ্টি নন্দন মনোরম উৎসবমুখরতা। পাশে বেষ্টিত ব্যানার-ফেস্টুনে আর শিশু-কিশোরদের কলতানে মূখরিত ছিল সারা অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেয় শতাধিক অভিভাবক এবং শতশত শিক্ষার্থী। উপস্থিত ছিলেন কৃতবিদ্য শিক মন্ডলী,অভিভাবক, সুভানুধ্যায়ী, মিডিয়াকর্মীরা।