মঙ্গলবার ● ৪ আগস্ট ২০২০
প্রচ্ছদ » ঠাকুরগাঁও » ঠাকুরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : চিকিৎসায় অভিযোগ
ঠাকুরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু : চিকিৎসায় অভিযোগ
দেশায়ন ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ে পৌরসভায় কলেজপাড়ায় অনিক (১২) নামে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। কিন্তু সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করে অভিভাবকরা। শিশুটি কলেজপাড়ার মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
আজ মঙ্গলবার বিকালে ওই শিশু আনিক বাড়ির পাশেই টাঙ্গন নদীতে ডুবে যায়। পরক্ষণেই জেলেরা জাল দিয়ে শিশুটিকে পানি থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরতরা সঠিক চিকিৎসা না করেই শিশুকে মৃত ঘোষণা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করে অভিভাবকরা
পরে শিশুটিকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার পর শিশুর শরীর আবার উষ্ণ হয়ে ওঠে এবং সঙ্গে সঙ্গে মুখ দিয়ে পানি বের হয়। এরপর অভিভাবকরা পুনরায় সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দ্বিতীয়বার চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে শিশুর স্বজনেরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ঘটনাস্থলে সদর থানার পুলিশও উপস্থিত হয়। দীর্ঘ ২ ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ চলার পর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাকিব এসে অনিকের স্বজন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন। স্বাস্থ্য সহকারী বাবুল হোসেনের হটকারী সিদ্ধান্তের কথা আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারকে জানালে তিনি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বললে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়।
শিশুর প্রতিবেশী সোহাগ হোসেন অভিযোগ করেন বলেন, আমরা প্রথমে অনিককে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী বাবুল হোসেন বলেন, আমার ১২ বছরের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাচ্চাটি মারা গেছে, তার ইসিজি লাগবে না। এ বলেই শিশুটিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
অনিককে পরে বাড়িতে নিয়ে গেলে মাটিতে শুইয়ে দিলে তার শরীর ক্রমশঃ গরম দেখা যায় এবং মুখ দিয়ে পানি বের হয়। তখন আশান্বিত হয়ে পরিবারের লোকজন দ্রুত তাকে পাশ্ববর্তী ডায়াবেটিকস হাসপাতালে নিয়ে অক্সিজেন দেয়। পরক্ষণেই আবার অনিককে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্বিতীয়বার তাকে মৃত ঘোষণা করে। সোহাগ আরও বলেন, সদর হাসপাতালে ইসিজির যন্ত্র নেই। বাহিরে থেকে ভাড়া করে ইসিজি মেশিন নিয়ে আনা হলেও মেশিন অপারেটর পাওয়া যায়নি।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সহকারী বাবুল হোসেন দেশায়নকে জানান, ওই সময় ডা. লিসা আক্তার ও ডা. সাবিনা ডিউটিতে ছিলেন। শিশুটিকে হাসপাতালে আনার পর ডা. সাবিনা শিশুটিকে দেখে-পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা দেন। তিনি শিশু কিছুই বলেননি বলে জানান।