শিরোনাম:
ঠাকুরগাঁও, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Deshayan
রবিবার ● ৮ মার্চ ২০২০
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » ঝিনুক সেঁচে মুক্তো নেব : আফরোজা রিকা
প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » ঝিনুক সেঁচে মুক্তো নেব : আফরোজা রিকা
৮৯৮ বার পঠিত
রবিবার ● ৮ মার্চ ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ঝিনুক সেঁচে মুক্তো নেব : আফরোজা রিকা

---: এ বিয়ে হচ্ছে না।
: কী বলছ তুমি, মাথা ঠিক আছে?
: ঠিক আছে বলেই বলছি
: পাত্র আমি, বিয়ে হবে কী না সে সিদ্ধান্ত আমি নিতে পারি । তুমি মেয়ে হয়ে তা পার না।
: আপনারা যে যার বাড়িতে চলে যান,
বলেই ঘরে চলে গেল সূচনা। বেঁকে বসেছে সে, এভাবে কনের বেঁকে বসার চিত্রটির সাথে একবিংশ সমাজ পরিচিত নয়। এতদিন যা হয়েছে বা হয় সমাজে,পাত্রপক্ষের লোকজন,পাত্রের বাবা,স্বয়ং পাত্র নাটকীয়ভাবে বিয়েতে বেঁকে বসে,অর্থাৎ অসম্মতি জানায়। কারণটি সকলের জানা। সেটি যৌতুকের নগদ টাকা আদান-প্রদান,বা স্বর্ণালংকার প্রসঙ্গে। কিন্তু আজকের বিষয়টি ভিন্ন। না,মোহরানা নিয়েও কোন ঝামেলা নেই। শামীম আহম্মেদ নামের ছেলেটি সাথে সূচনার দুই বছরের পরিচয়। পরিচয় থেকে পরিণয় সূত্র ধরে আজকের এই উপসংহার। কিন্তু সেটি এখন আর হচ্ছে না।

ভিতর ঘরে বিছানার ওপর গেঁড়ে বসেছে সূচনা। সামনে চেয়ারে বসা শামীম। বাবা বললেন
: কেন এ কথা বলছিস?
উত্তরে কিছু বলল না। কেবল শামীমের হাত ধরে টেনে বাড়ির উঠোনে লোকভর্তি বিয়ের আসরে এসে দাঁড়াল। তারপর শামীমের দিকে তাকিয়ে বলল,
: আমি ভেবেছিলাম তুমি আধুনিক মনা ডাইনামিক ব্যক্তি। কিন্তু আমার ধারণা ভুল। তোমার অনেক সার্টিফিকেট থাকলেও প্রকৃত শিক্ষিত হতে পারনি। যে অভিযোগ ,যে দ্বিধা তুমি আজকে দেখালে তাতে করে বিয়ে দূরের,সত্্য জানবার অধিকার তুমি হারিয়েছ। তারপরও বলব। আর এই যে আপনারা,আপনাদের মধ্য থেকে কেউ চেয়েছেন আমার বিয়েটা ভেঙ্গে যাক। তাতে করে আমি ভেঙ্গে পড়ব। না মশাই,আপনি যেই হোন,জীবনভর যতবার অন্যের অপকার করুন আজ ভুল করে একটি ভালো কাজ করেছেন। যদিও সেটা আপনার উদ্দেশ্য ছিল না। সবাই শুনে রাখুন,সকলের মত আমার মা-বাবাও আমার জীবনের আদর্শ। কেন জানেন? কারণ তারা দুজন প্রতিবাদী ডাইনামিক মানুষ। তুমি শুনতে চাও শামীম?
: হ্যাঁ,তবে তার সঙ্গে বিয়ে বন্ধের কী সম্পর্ক?
: আছে। শামীম তুমি সমাজ বদলের শ্লোগান দাও, সাম্যবাদের কথা বল তাইনা? তাহলে কী করে তুমি নারী-পুরুষের অধিকারকে আলাদা করে দেখ? নারীর মানবিক মূল্যবোধকে অশ্রদ্ধা কর? সমাজের সবচেয়ে ক্ষত যে ট্যাবু,ধর্মের দোহাই দিয়ে তাকেইতো প্রতিপালন করছ।
: বুঝতে পারছ না সূচনা,এমনটাই স্বাভাবিক। শ্লোগান দিয়েছি ঠিকই কিন্তু সমাজ পরিবর্তন অত সহজ নয়,সময় সাপেক্ষ ব্যপার। আমাদের আত্মীয় পরিজন নিয়ে,ধর্ম মেনে চলতে হয়।
: ধর্ম? ধর্মের নামে অধর্মকেই আদর করে,যতœ করে এসেছে কতজন তার খবর রাখ? তাহলে শোন, আপনারাও শুনুন, আমার মায়ের বাড়ি গ্রামে। তবে মা ছাত্রজীবনে শহরে বড় ভাইয়ের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত।
সূচনার মা শাহানা এতক্ষণ মেয়ের কাÐ দেখছিলেন। আর চুপ থাকতে পারলেন না। বললেন
: চুপ কর সূচনা।
সূচনার বাবা স্ত্রীকে থামিয়ে বললেন
: তুই বল মা,এই দিনটির জন্য আমি অনেক প্রতীক্ষা করেছি।
: হ্যাঁ বাবা বলব। শুনুন, কলেজে পড়ার সময় মায়ের সঙ্গে একটি ছেলের বন্ধুত্ব হয়। তারা দুজনই ছিল সাহিত্যপ্রেমী। ছেলেটির সংগ্রহে ছিল প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের নানান বই। মায়ের সংগ্রহেও ছিল অনেক। দুজনের মাঝে ব্্্ই আদান-প্রদান হতো। বই, যা মানুষকে আপন মনোলোকের মালিক হতে শেখায়। সেই মালিকই হয়েছিল তারা। দুজনার মধ্যে তৈরি হয় ভালোলাগা এবং শুদ্ধতম পরিণয় ভালোবাসা। মায়েরা তিন ভাই দুই বোন। বড় বোন নি:সন্তান। বিয়ের তিন বছওে রোগ বালাই লেগেই থাকত। মার বয়স তখন আঠারো কী উনিশ। মায়ের দুলাভাই মাঝে মাঝেই শহরে আসতেন, বড় ভাইয়ের বাসায়। লোভী চোখদুটো আটকে থাকত মায়ের ওপর। মা খুব বিরক্ত হত। একদিন দু:সংবাদ এলো, মায়ের বড় বোনের মৃত্যু হয়েছে।
এরপর পাঁচমাস কেটে গেল। মা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। একদিন গ্রামের বাড়ি থেকে ত্বরিত ডাক এলো। ছোটভাই নিতে এসেছে সবাইকে। সবাই হন্তদন্ত হয়ে বাড়ি গেল। সেখানে গিয়ে যে খবর শুনল,তা কোন মৃত্যু সংবাদ নয় বা কারুর দূরারোগ্য ব্যাধির খবর নয় কিন্তু তা শুনে মার মৃত্যুঘন্টা বেজে উঠল। নানাজান দরাজ কণ্ঠের প্রভাবশালী মানুষ। তাঁর নির্দেশে দুই ভাইয়ের কড়া পাহাড়া। দিনের সূর্য ডুবে গেলে ঘুঁটঘুঁটে অন্ধকারে হ্যারিকেনের আলোয় কলেজ পড়–য়া মায়ের চোখ দিয়ে অবদমিত অশ্রæ গড়িয়ে পড়ছিল অথচ সেই অশ্রæর অর্থ বুঝবার ক্ষমতা কারুর ছিল না। রাতেই বরপক্ষ এলো,অনাড়ম্বরভাবে। বর স্বয়ং মায়ের দুলাভাই। যাকে দেখলেই মায়ের গা ঘিনঘিন করে উঠত। মা পালানোর চেষ্টা করল, দুই ভাইয়ের জন্য হলো না। কাজী বিয়ে পড়াতে এলো। বিয়ে পড়ানোর সেই কাহিনিটা মায়ের মুখে শুনলে আমার সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর বহিপীর নাটকের খোদেজার কথা মনে পড়ে। খোদেজা বলেছিল, ‘কতজন বাবা মা মেয়ের মতামত নেয়? কতজন বিয়েতে কবুল বলে? কবুলতো পাশে বসা ভাবী,চাচীই বলে দেয়। কেউ লজ্জায় বলে না কেউ অসম্মতির কারণে বলে না। তবুও বিয়ে হয়।’
এই হলো ধমর্,কী অধ:পতন তার ! মানুষ তাকে ভেঙ্গে অধর্মেই ধর্মের নিবাস গড়ে। মানুষের আত্মার হত্যা করে। অথচ ধর্ম নারীকে স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ দিয়ে তিন তিনবার প্রশ্ন করে ‘রাজি আছ?’ একবার যদি না বলে সে বিয়ে হবে না। মেল শভিনিস্টিক ধার্মিক পিগরা তা হতে দেয় না, স্বার্থের জন্য ধর্মকে বিকৃত করে। এবং কিছু নারীকেও বাধ্য করে।

সেদিন মা কবুল বলে নি। বলেছে অন্য কেউ। মা না বলেছিল,সবাই শুনেও না শোনার ভান করেছে, জোড় করে গাড়িতে তুলে দিয়েছে। মা সেই শভিনিস্টিক পিগটাকে স্বামী মেনে নেয়নি। কনে নিয়ে বাড়ি পৌঁছানোর পনেরো মিনিটের মাথায় মা কৌশল করে সে রাতেই পালিয়ে যায়। পাশের একটি হিন্দু পরিবারে আশ্রয় নেয়। দরদী পরিবারটি মার সব কথা শুনে পরের দিন মাকে শহরে তার প্রিয় মানুষটির কাছে পৌঁছে দেয়। এরপর দুইজনের পরিপূর্ণ সম্মতিতে দুইটি প্রাণের বন্ধন গাঢ় হয়,যার নাম বিয়ে।

সেদিন মায়ের সুখগুলো আনন্দের কাশবনটিতে বিষন্ন মেঘের ছায়া নয়,ঝিঙে ফুলের মত রৌদ্র সুখে ঝলমলে আভা ছড়িয়েছিল। সাধ আর স্বপ্নগুলো ডানা মেলা কোকিলের মত সুখের আকাশে উড়েছিল। মা আমার বাবাকে ধূসর নিঃসঙ্গতার কবলে রেখে চিরতরে চলে যায় নি। মা বাবার বোধের ভাঁজে যে বাতাস নেচেছিল তা ভালোবাসার, মানব ধর্মের, ভন্ডামীর নয়। আবহমান সূর্যরশ্মি সেদিন মাকে ধন্য মেয়ে বলে অভিবাদনে ঝরে পড়েছিল তার জীবন নদীর দুইকূলে, শিউলি বকুলের মত। না সমাজের ছুঁড়ে দেয়া আঘাতগুলো মায়ের সুখের মজবুত ঘর ভাঙ্গতে পারে নি। যা তুমি বিধর্মী কাজ বলে অভিহিত করে,আমার স্বভাব নিয়েও চিন্তিত হয়ে আমাদের তিনজনকেই অসম্মান করেছ।
: এই সমাজ আমাকে তাই শিখিয়েছে সূচনা। এখানেই আমাকে বাস করতে হয়।
: তুমি হাসালে শামীম। তুমি কোন যুগে বাস করছ? এটা মানবতার যুগ,অধিকার আদায়ের যুগ। সমাজের ট্যাবুগুলো ভাঙ্গার যুগ। যে ট্যাবুগুলো আমার বাবা মা কয়েক যুগ আগেই ভেঙ্গে, ভ্রান্ত ধারণার মুখে থুথু ছিটিয়ে দিয়েছে। তারা প্রতিবাদী,সাহসী , হিপোক্রেট নয়। শামীম,বেঁচে থাকার সময়টাতে কেউ যদি এমন কারো দেখা পায় যে পাশে থাকলে তার সুখের অনুভূতি হয়,দু:খ দূরে সরে হাসির ফোয়ারা ঝরে,তবে তাদের মধ্যে ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হবে এটাইতো স্বাভাবিক। সে সম্পর্ক ঘূণে ধরা সমাজসিদ্ধ হোক না হোক, তাতে কী এসে যায়? জীবনসিদ্ধতো! মানুষের অনুভূতি,বোধ,ভালোবাসা, আনন্দ কি যন্ত্রণা, অভ্যাস সবকিছুকেই ধারণ করতে পারে যে সম্পর্ক, সে সম্পর্কইতো মানবীয়,প্রার্থিত। তাকে অস্বীকার করার মানেতো জীবনকে অস্বীকার করা। তারা জীবনকে অস্বীকার করে নি। এটাই আমার গর্ব। আমি আমার অহংকারের সঙ্গে অহংকারভরে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি, তুমি তা হতে দাওনি। অশোভন কথা বলেছ,চার্জ করেছ,অপমান করেছ। কী করে তোমাকে জীবনসাথী করি?
: তোমাকে ভালোবাসি সূচনা।
: শামীম যে তোমাকে ভালোবাসে না তার সাথেও বছরের পর বছর একই ছাদের নীচে কাটিয়ে দেয়া যায় কিন্তু যে তোমাকে সম্মান করে না তার সাথে বেশিদিন থাকা যায় না। দম বন্ধ হয়ে আসে। আজ আমি তোমার চোখের প্রতিটি ভাঁজে সেই অসম্মানের দৃশ্য প্রকট হতে দেখেছি। তুমি আমার প্রিয় মানুষ ছিলে কিন্তু তোমার সমস্যার ডিজাইনও অন্য মানুষদের মত, যারা নারীর স্বাধীন মতামতকে ট্যাবু মনে করে বুলিং শুরু করে। বিয়েই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয় শামীম। তার আগে কিছু কাজ পড়ে আছে, সেসব সম্পন্ন করতে চাই। এখনো অনেক বালিকাকে কবুলের সঠিক অর্থ, সাত পাকের সঠিক অর্থ বুঝতে না দিয়েই বিয়ের হাটে কুরবানি দেয়া হচ্ছে। ফলে কত মেয়ে যে বাসর রাতেই ধর্ষিত হচ্ছে তার হিসেব নেই, যে ধর্ষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার উপায় থাকে না। আশ্চর্য হই; ভাবলে গা শিউরে ওঠে। এসব আর হতে দেয়া যায় না। আমি এই মেয়েদের ‘বিয়ে,কবুল, সাতপাক’এইসব শব্দের সঠিক অর্থটি বোঝাতে চাই।
: সূচনা এসব সাহিত্যের ভাষা। বাস্তবে একা একা লড়াই করা যায় না।
: শামীম,শুরু না করলে সম্পন্ন হবে কী করে? এ সমাজ নিজ স্বার্থেও জন্য কখনো কখনো নারীকে দেবী বানিয়ে প্রচুর সুবিধা নিয়েছে। কেন দেবী বানিয়েছে জানো? সম্মান করার উদ্দেশ্যে নয়। দেবী বানিয়েছে যেন তার কোন মানবিক অধিকার না থাকে। সে তো হবে সর্বংসহা, পরের প্রয়োজনে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দেয়া ক্ষুধা তৃষ্ণা, যৌন চাহিদাহীন পাথরের প্রতিমা। এই ধরো তেলে ঝোলে মাখা বাঙালি মায়ের মাতৃময়ী মূর্তি। সেসব মায়েদের রক্তমাংসের মানুষ হতে নেই। যারা স্বামীর হ্াজার অত্যাচার অন্যায় সহ্য করে হাসিমুখে জীবন কাটিয়ে দেয়। কিন্তু নাহ, নারীকে আর খোলা খাবার, তেঁতুল বা নাজুক ফুলের উপমার মধ্যে সীমিত রাখা যাবে না। নারী বুঝুক জীবন নামের এবং দাম্পত্য নামের যে ঝিনুকটি আছে তার ভেতরের মুক্তোর প্রকৃত মূল্য। আলোকিত হোক সেই মুক্তোর আলোয়। সেই আলোর সন্ধান দিতে চাই।
: বেশ, যদি কখনো তোমার মতের সাথে একমত হতে পারি,তবে দেখা হবে। তবে তোমার এই পথ বন্ধুর, পদে পদে হোঁচট খাবে।
: কাঁটার আঘাত না সইলে কমল তোলা যায়? যায়না। আমরা আদিম প্রতœপ্রতিমাময় কাম উদ্রেককারী রঙিন পুতুল নই। আমরা পুরুষের ডাকে লটপট লটপট কোমর দামিনী, আঁধার রাগিনীও নই। আমরা আমাদের বাঙালি মায়ের স্টিরিওটিপিক্যাল সংজ্ঞা বদলাতে বিপ্লব করব। আমার মা যা পেরেছে তারই আদর্শ ধরে আমরা আজকের যুগের মেয়েরা সিন্ধু সেঁচে নিয়ে আসব ঝিনুকের মুক্তো।

আফরোজা রিকা
সভাপতি,নারী মুক্তি সংসদ, ঠাকুরগাঁও জেলা
ও সম্পাদক, বোধন





প্রধান সংবাদ এর আরও খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের সংবর্ধনা
ঠাকুরগাঁওয়ে আখের রোগমুক্ত পরিচ্ছন্ন বীজ উৎপাদন ও বিস্তাার বিষয়ে মাঠ দিবস ঠাকুরগাঁওয়ে আখের রোগমুক্ত পরিচ্ছন্ন বীজ উৎপাদন ও বিস্তাার বিষয়ে মাঠ দিবস
ঠাকুরগাঁওয়ে ‘১ম ফাইভ সাইড নারী হকি একাডেমী কাপ’র সমাপন ও পুরস্কার বিতরণ ঠাকুরগাঁওয়ে ‘১ম ফাইভ সাইড নারী হকি একাডেমী কাপ’র সমাপন ও পুরস্কার বিতরণ
ঠাকুরগাঁওয়ে ১ম ফাইভ সাইড নারী হকি একাডেমী কাপ উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ে ১ম ফাইভ সাইড নারী হকি একাডেমী কাপ উদ্বোধন
ঠাকুরগাঁওয়ে ১ম ফাইভ সাইড নারী হকি একাডেমী কাপ উদ্বোধন আগামীকাল ঠাকুরগাঁওয়ে ১ম ফাইভ সাইড নারী হকি একাডেমী কাপ উদ্বোধন আগামীকাল
ঠাকুরগাঁওয়ে ১ম ফাইভ সাইড নারী হকি একাডেমী কাপ উদ্বোধন বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁওয়ে ১ম ফাইভ সাইড নারী হকি একাডেমী কাপ উদ্বোধন বৃহস্পতিবার
ঠাকুরগাঁওয়ের দানারহাটে ওয়ান-ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ের দানারহাটে ওয়ান-ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
ঠাকুরগাঁওয়ে জরায়ুমুখে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাংবাদিকদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন ঠাকুরগাঁওয়ে জরায়ুমুখে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাংবাদিকদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন
ঠাকুরগাঁওয়ের নারগুনে ওয়ান-ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট ঠাকুরগাঁওয়ের নারগুনে ওয়ান-ডে ফুটবল টুর্নামেন্ট
ঠাকুরগাঁওয়ের চেরাডাঙ্গীতে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন ঠাকুরগাঁওয়ের চেরাডাঙ্গীতে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)