রবিবার ● ১৯ আগস্ট ২০১৮
প্রচ্ছদ » ঠাকুরগাঁও » সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও সাবেক সভাপতিকে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ
সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও সাবেক সভাপতিকে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ
দেশায়ন ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ে মহিলা পরিষদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও সাবেক সভাপতি আফরোজা পারভীনকে হেয় প্রতিপন্ন করার করার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার বিকেলে ওই সংগঠনের সম্পাদকসহ ১১ জন সদস্য স্বাক্ষরিত একটি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়, ব্যক্তি আক্রোশের কারণে এবং হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সুচরিতা দেব ও সহ-সভাপতি আইরীন পারভিন একটি অনলাইন পত্রিকায় মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি তার বিবৃতিতে প্রকাশ করেন, আফরোজা পারভীন সভাপতি পদে না থেকেও স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর সভাপতির স্বাক্ষর করে একটি অভিযোগ পত্র দেন এবং সংগঠন পরিপন্থি অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে আফরোজা পারভীন ও সম্পাদকসহ ১১ জন যে অভিযোগপত্র দিয়েছেন তাতে আফরোজা পারভীন নিজেকে সাবেক সভাপতি উল্লেখ করেছেন। এছাড়া জনৈক সাংবাদিকের বিয়েতে আফরোজা পারভীন রিকা (তৎকালীন সভাপতি) অংশ নেয়ার সুত্র ধরে সুচরিতা দেব সাংবাদিকের বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্র না পাওয়ায় অন্যায়ভাবে দোষারোপ করেন এবং আফরোজা পারভীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অথচ সে বিয়েতে তৎকালীন ৩০ বিজিবি প্রধানসহ জেলার উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এবং বিয়েতে অংশ নেয়ার সূত্র ধরে সম্প্রতি একটি স্থানীয় অনলাইন পত্রিকায় বানোয়ার বিবৃতি প্রকাশ হয়। অথচ ওই সাংবাদিক দম্পতির বয়সের প্রমানপত্র রয়েছে বলে জানা গেছে। যেটি কোন মতেই বাল্য বিবাহের মধ্যে পড়ে না।
সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতবিরোধের জন্য তৎকালীন সভাপতি আফরোজা পারভীন হাতে লেখা একটি পদত্যাগ পত্র সহ-সভাপতির কাছে দেন। বিবৃতিতে লক্ষ্য করা যায়, সংগঠনের কার্যনির্বাহী মিটিয়ে কেন্দ্রে’র অনুমোদন সাপক্ষে আইরিন পারভীনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব দেয়া হয়। অথচ বিবৃতির সঙ্গে দেয়া রেজুলেশনের কপি পড়ে দেখা গেছে যে, কেন্দ্রীয় অনুমোদন পেলে সহ-সভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। এর অর্থ দাঁড়ায়, এখনো কেন্দ্র তৎকালীন সভাপতির পদত্যাগ পত্রের বিষয়টি জানে না এবং এ কারনে তিনি ভারপ্রাপ্ত সহভাপতি লেখতে পারেন না। এছাড়াও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক গত বছরের এপ্রিলে প্রেমঘটিত বিষয়ে ৩০টি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। পরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তিনি নিজেও একজন নারী সংগঠক হওয়ায় এ জাতীয় কাজের জন্য সংগঠনের ভাবমুর্তিও নষ্ট হয়েছে।
আফরোজা পারভীন রিকাসহ ১১জন সম্পাদক ও সদস্যরা জানান, যদি সুচরিতা দেব এভাবে সংগঠন এবং সংগঠকদের হেয়-মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বারবার হেনস্থা করতে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান।