মঙ্গলবার ● ২১ মে ২০১৯
প্রচ্ছদ » ঠাকুরগাঁও » ঠাকুরগাঁওয়ে রংধনু শপিং এর নামে প্রতারণা : খামারীদের ৫০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও
ঠাকুরগাঁওয়ে রংধনু শপিং এর নামে প্রতারণা : খামারীদের ৫০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও
দেশায়ন ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ে রংধনু শপিং লি: কোম্পানির বাবুল রায়সহ দুইজন প্রতারক প্রায় ২ হাজার লোককে ঠকিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে আনিসুল হক সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান ভূক্তভোগী প্রতিনিধি দল। প্রশাসন এখুনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তারা দুইজন অল্পকিছু দিনের মধ্যে ভারতে স্থায়ী ভাবে চলে যেতে পারে বলে অনুমান করছেন ভূক্তভোগী খামারীরা।
প্রতারণার শিকার এই দলটির আহবায়ক মো. মানিক হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, এই দুইজন বাবুল রায় ও তাজুল ইসলাম তাদের মত হাজার হাজার খামারীকে ব্যবসার প্রলোভন দেখিয়ে টার্কি মরগীর কথিত ব্যবসার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে এক লাখ দুই হাজার টাকা গ্রহণ করে এবং চৌত্রিশ হাজার টাকা লাভের কথা বলে লাখ প্রায় দুই হাজার মানুষের কাছে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ১৬ মে ঠাকুরগাঁও থানায় ওই দুইজনের বিরুদ্ধে একটি এজহার মামলা করা হয়। প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তারা দুই জন ভারতে চলে যেতে পারবেনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে টাকা ফেরত পাওয়ার একটা উপায় থাকবে।
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান দেশায়ন ডট কম’কে বলেন, আমরা এই প্রতারণার বিষয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। আসামিদের শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।
গত সতেরো সালের ২ জুন তারিখে প্রতিষ্ঠিত এই ভুয়া কোম্পানি এমডি প্রতারক বাবুল রায় ও তাজুল ইসলাম এই লোক-ঠকানোর ব্যবসা চালু করে। ওই দুই প্রতারক তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিল যে তারা ৯৫ দিনের মধ্যে ৩৪ হাজার টাকা লাভ করে দিবে। এতদিন জেলার প্রায় ১৫শ থেকে দুই হাজার সাধারণ মানুষকে টার্কি মুরগীর খামার করবার স্বপ্ন এবং অধিক লাভ করবার লোভ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
কিন্তু সাধারণ খামারীরা এতদিন কিছুই বুঝতে পারেনি। তারা গত ১৫ মে ২০১৯ সালে রংধনু শপিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবুল রায়ের মোবাইলে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়। বার বার ফোন বন্ধ পায় এবং বুঝতে পারে তারা এদের প্রতারণা ফাঁদে পা দিয়েছেন।
এখন খামারীরা অফিসে ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সাথে যোগাযোগ করলে না পেয়ে হন্যে হয়ে ঘুড়ছে। তারা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। তারা অবিলম্বে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাবলু রায় ও তাজুল ইসলামকে খুজে পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও ক্ষতিগ্রস্ত খারামীরা উপস্থিত ছিলেন।