মঙ্গলবার ● ২৩ এপ্রিল ২০১৯
প্রচ্ছদ » ইতিহাস-ঐতিহ্য » আলপনা’র বৈশাখী মেলার সমাপনী
আলপনা’র বৈশাখী মেলার সমাপনী
দেশায়ন রিপোর্ট : ঠাকুরগাঁওয়ে আলপনা সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের ৮ দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা সমাপ্ত হয়েছে। সোমবার রাতে সাধারণ পাঠাগার চত্বরে মেলার এ সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয়। এসময় আট দিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাদেক কুরাইশি কে বিশেষ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
আলপনা সংসদের সভাপতি মো. সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, বিশেষ অতিথি ড. মুহ. শহীদ উজ জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশি, আলপনা সংসদের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান, ড. ইস্রাফিল শাহীন প্রমুখ। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘গত ৩৪ বছর ধরে আলপনা সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ যেভাবে এখানে বৈশাখী মেলা আয়োজন করে চলছে, তা সত্যি বিষ্ময়কর। আমি আশা করবো যেন এই সাংস্কৃতিক চর্চা প্রতিবছর অব্যাহত থাকে। আমি সকলের মঙ্গল কামনা করছি।’
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহা. সাদেক কুরাইশি বলেন, ‘ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে আলপনা সংসদ দীর্ঘ বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করে আসছে। এর সাথে সংম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। আজকের এই সংবর্ধনা আমার রাজনীতি ও সামাজিক জীবনে নতুন প্রত্যয় সৃষ্টি করে দিল। আমি চেষ্টা করবো এই পুরষ্কারের মূল্য ধরে রাখতে, মূল্যায়ন করতে। আমি সততার সঙ্গে কখনো আপোষ করি নাই এবং করবোও না।’
আলপনা সংসদের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই মেলায় অংশগ্রহণকারী সকল স্টল, অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের, ইএসডিও, সরকারি বালক উচ্চ ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে। আমি পরিশেষে আলপনা সংসদের যে কর্মী বাহিনী ও এর সাথে যারা অকান্ত পরিশ্রম করেছেন। এবং ঠাকুরগাঁওয়ের সকল নাগরিককে যারা একে নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন।’
বিশেষ অতিথি ড. মুহ. শহীদ উজ জামান বলেন, ‘আলপনা সংসদ দীর্ঘ যুগ ব্যপী এই মেলার আয়োজন করে আসছে। আমরা ইএসডিও, এই মেলার সঙ্গে থাকতে পেরে আনন্দিত। আশা করি ঠাকুরগাঁওয়ের সাংস্কৃতিক বিকাশে আলপনা এবং এই বৈশাখী মেলা বিশেষ ভুমিকা রাখবে।
গত ২ বৈশাখ মেলা শুরু হয়। মেলায় বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক তুলে ধরে অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিল, আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সুন্দর হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, লোকসঙ্গীত এবং দেওয়াল পত্রিকা। এই আট দিনে এই মঞ্চে পুঁথিপাঠ ও কোয়ালী গানের অনুষ্ঠান, লোকসঙ্গীতের অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাউল গান ইত্যাদি। রাত ১১টায় যাত্রিক শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনায় ‘আজকে বাবার ফাসির দিন’ যাত্রা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘটে।