
শুক্রবার ● ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রচ্ছদ » উন্নয়ন-সম্ভাবনা » মুক্ত-নতুন ও ছাত্র বৈষম্য জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি : অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু
মুক্ত-নতুন ও ছাত্র বৈষম্য জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি : অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু
দেশায়ন ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির (রংপুর বিভাগ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন একটি মুক্ত বাংলাদেশ, নতুন বাংলাদেশ, ছাত্র বৈষম্য জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পাচ্ছি। আমাদের আগামী দিনের বাংলাদেশে তারেক রহমান সারা বাংলাদেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছেন। উনি আশা ব্যক্ত করেছেন আগামী দিনে একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, মানবিক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চান। সেই আন্দোলনে যেনো আমরা সবাই শরিক থাকি।
তিনি শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে অনুষ্ঠিত “জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট” এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি তারেক রহমানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ইতিমধ্যে উনি ৩১ দফা জাতীর সামনে তুলে ধরেছেন। যদিও অনেক ষড়যন্ত্র এখনও আমাদের পিছু ছাড়ছে না। সকল ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে আগামী দিনের জন্য একটি গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়তে পারি যেই দৃঢ় শপথ যাতে আমরা নিতে পারি। আজকের খেলায় দুটি আকর্ষন রয়েছে। একটি যার নামে খেলা। তিনি হচ্ছেন স্বাধীনতার মহান ঘোষক। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যিনি রিভল্ড করেছিলেন। অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন; দেশকে মুক্ত করেছিলেন। পরবর্তিতে একটি আধুনিক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করে রক্ত দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে ঋনী করে রেখেছেন। প্রিয় নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নামে এই খেলা। সে কারনেই খেলার মান গুনগত অনেক উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিশেষ কারণ এই বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যিনি সিপাহী সালাহ হিসেবে সারা বাংলাদেশে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া নেতৃত্ব দিয়েছেন। যিনি শুদ্ধাচার, বুদ্ধিদীপ্ত রাজনীতিক নেতা হিসেবে, একজন সজ্জল ব্যক্তি হিসেবে সারা বাংলাদেশে পরিচিতি লাভ করেছেন সেই আমাদের প্রিয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্মস্থান। তিনি এই ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষকে সারা দেশে যেমন পরিচিতি দিয়েছেন। আমরা তার উত্তরাঞ্চলের মানুষ হিসেবে সব সময় গর্ববোধ করে থাকি। আজকের দুটি টিমের আমাদের দুই দিক দিয়ে বিখ্যাত। একটি হাড়িভাঙ্গা আমের জন্য অন্যটি লিচুর জন্য। আজকে দেখা যাবে লিচুর জোর বেশি নাকি হাড়িভাঙ্গা আমের জোর বেশি, মিষ্টি বেশি। সেই খেলা আমরা দেখতে চাই, ভালো খেলা উপভোগ করতে চাই; ভালো খেলা দিয়ে মানুষের বিশেষ করে দর্শকদের হৃদয় জয় করতে চাই। কৃষ্টি কালচার, সংস্কৃতি ও খেলাধুলাকে জাগিয়ে তুলতে হবে, সুস্থ্য মনের অধিকারী হতে হবে, সুস্থ দেহের অধিকারী হতে হবে, তাহলে সুস্থ দেশ গড়া সম্ভব হবে। আমি আয়োজক কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির আয়োজনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টুর্ণামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সৈয়দ মমিনুল হক বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির (রংপুর বিভাগ) এর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, গেষ্ট অব অনার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিদ আউয়াল, বিশেষ অতিথি বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির (রংপুর বিভাগ) এর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আব্দুল খালেক, মো: আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ফুটবল লীগ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও ঠাকুরগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি মো: শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ।
এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: পয়গাম আলী, টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক কৃতী খেলোয়াড় মো: ফারুক হোসেন, সাবেক জাতীয় গলের খেলোয়াড় আরাফাত আলী রনি, জেলা ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা মো: মাজেদ জাহাঙ্গীর অপু, মো: মাসুদ রানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো: কায়েস, বিএনপি এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, হাজারও দর্শক-সমর্থক ও অংশগ্রহণকারী টিমের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়গণ উপস্থিত ছিলেন। শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ টিমকে ট্রফি ও প্রাইজমানি তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। এর আগে আগত প্রধান অতিথি, গেষ্ট অব অনারসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন পরিচালনা কমিটির সদস্যগণ।
ফাইনালে তুমুল প্রতিদ্বন্দিতাপুর্ন ম্যাচে “দিনাজপুর জেলা বিএনপি” দল টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ”রংপুর মহানগর বিএনপি” দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশুন্য ছিল।
উল্লেখ্য, টুর্নামেন্টে রংপুর বিভাগের ৮টি টিম অংশগ্রহণ করে।