বুধবার ● ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
প্রচ্ছদ » অর্থ ও বাণিজ্য » ঠাকুরগাঁওয়ে আখের সাথে সাথীফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস
ঠাকুরগাঁওয়ে আখের সাথে সাথীফসল চাষাবাদ শীর্ষক মাঠ দিবস
দেশায়ন ডেস্ক : আধুনিক প্রযুক্তিতে লাভজনকভাবে আখের সাথে সাথীফসল চাষাবাদ-শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়ায় এ মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, ইশ্বরদী, পাবনা’র আয়োজনে ও আখের সাথে সাথীফসল হিসাবে, ডাল, সলা ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর অর্থায়নে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় বিএসআরআই, ইশ্বরদী, পাবনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবু তাহের সোহেলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস্ লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: শাহজাহান কবির, বিশেষ অতিথি বিএসআরআই ইশ্বরদী, পাবনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রজনন বিভাগের প্রধান ড. মো: আনিছুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: কামরুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও আরএসআরএস এর ইনচার্জ ও উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: সোহরাব হোসেন, ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস্ লি: এর জি.এম (কৃষি) মো: আবু রায়হান, স্থানীয় আখচাষী মো: তোফাজ্জল ইসলাম, ইয়াকুব আলী, আনসার আলী, ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রতন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে চিনিকলের বিভিন্ন কর্মকর্তা, ঠাকুরগাঁও আরএসআরএস এর বিভিন্ন কর্মকর্তা ও আশ পাশের এলকার প্রায় শতাধিক আখচাষী অংশ নেন।
পরে ওই এলাকার কৃষক মো: তোফাজ্জল ইসলামের আখের সাথে পেয়াজ, মুগডাল, আলুর প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। বক্তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আখের সাথে সাথীফসল চাষাবাদের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন বিষয়ের উপরে আলোচনা করেন।
বিএসআরআই, ইশ্বরদী, পাবনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবু তাহের সোহেল তার বক্তব্যে বলেন, আখের সাথে সাথী ফসলের জন্য আখচাষীদের আমরা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে থাকি। বাংলাদেশ সুপারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। যে প্রকল্পটি বিগত ৩ বছর সফলতার সাথে শেষ করা হয়েছে এ বছর শেষ বছর। আমাদের মূল্য লক্ষ্য ছিল কৃষককে আখের যে ২ সারি, এই ২ সারির জায়গাকে যথাযথভাবে চাষের আওতায় নিয়ে আসা। সেই লক্ষ্যেই কিন্তু চাষীদের এ মাঠ দিবসের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। চাষীরা সাথী ফসল থেকে লাভবান হবেন। পরবর্তীতে ২য় সাথী ফসল প্রয়োজনে ৩য় সাথীফসল থেকে যে আয় হবে সেটি দিয়ে আখ লাগানোর খরচ মেটাতে পারবেন। সর্বোপরী সবশেষে যখন আখ থেকে প্রাপ্ত টাকাটি তার কাছে বোনাস মনে হবে। অর্থাৎ আমাদের মূল লক্ষ্য চাষীদের বোঝানোর চেষ্টা করছে। জমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জমি ব্যবহার করে আখের ফসলের পাশাপাশি সাথী ফসলের উপায় নেই। আমাদের স্লোগান হচ্ছে “আর নয় শুধু আখ, সাথী ফসলের বাজাই ঢাক”।
বিএসআরআই ইশ্বরদী, পাবনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রজনন বিভাগের প্রধান ড. মো: আনিছুর রহমান বলেন, আমরা জানি ডাল, মসলা ও সবজীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চাহিদার তুলনায় কম উৎপাদয় হওয়ায় ঘাটতি থাকে। ফলে দেশের বাহিরে থেকে এগুলো আনতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। এ নিয়ে তোলপার শুরু হয়। আখকে লাভজনক ফসল হিসেবে দ্বাড় করানো এবং পাশাপাশি অব্যবহৃত যে জমিগুলো রয়েছে সেগুলো সাথী ফসল উৎপাদনের জন্য ব্যবহারের মধ্যে আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোয় আমাদের মূল লক্ষ্য। একই সাথে সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা সেই সাথে আমাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণেই এ প্রকল্পের লক্ষ্য।