মঙ্গলবার ● ৩০ মে ২০২৩
প্রচ্ছদ » উন্নয়ন-সম্ভাবনা » ঠাকুরগাঁওয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন
ঠাকুরগাঁওয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন
দেশায়ন ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেসী কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাস কক্ষে এ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর আয়োজনে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস. রমেশ কুমার ডাগা, বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আলাউদ্দীন, বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান প্রমুখ।
৩০-৩১ মে এই ২ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশ নেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর বিজ্ঞ বিচারকগণ কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের মানোন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে আলোচনা করেন এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার বলেন, প্রকৃত মানুষদের সেবা দেওয়ার মন মানুষিকতা যদি আমরা তৈরী করতে পারি তাহলেই আমরা মনে করবো মাস শেষে যে বেতনটা আমরা পাই সেটা হালাল। আর যদি আমাদের গ্যাপ থাকে তাহলে আমার সেবক হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা করবে। আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, আমি দেশে ও দেশের বাহিরে যতগুলো প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করেছি। সেখানে ঠাকুরগাঁও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর উদাহরণ দেওয়া হয়। আমরা এখানকার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর যে গতিশীলতা সে গতি কিন্তু অন্যান্য যে জেলা রয়েছে সেখান থেকে কিছুটা হলেও আলাদা। এটা আপনারা কাজ করেন আপনারা জানেন। এই গতিশীলতা বা প্রকৃত সেবা মানুষ যেটা পাচ্ছে এটি উদাহরন। এটা আমাদের কথা নয়। আপনি জেলার যে কোন সরকারী দপ্তরে যান, সকলে একবাক্যে স্বীকার করবে আমরা কিছু উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। কারন এটা সম্ভব হয়েছে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারনে। আমাদের কোন কিছুর প্রকৃত সেবা আমি একা চাইলে হবে না। কাজটাকে ভাগ করে নিয়েছি। সকলে সম্বিলিতভাবে করার পরই সেটা সুন্দরভাবে সমাপ্ত হয়। আমাদের কাজের যে প্রতিফলন সেটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে আপনাদের সকলের মনমানুষিকতা, ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আমাদের প্রতি আপনাদের ভালোবাসার কারনে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টায় এগিয়ে যেতে হবে। ধরেন একটা সমন যদি আমি আজকে দেই সেটা প্রসেস করে আগামীকালের মধ্যেই আপনি প্রেরন করছেন। ২ দিনের মধ্যে এটা জারী হয়ে আসছে। মামলার কাজ অনেক দ্রæত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কাজেই মানুষের মধ্যেও আতংকবোধ না, বিচার পাওয়ার যে আন্তরিকতা, মনমানুষিকতা সেটা মানুষের মধ্যে আমরা পৌছে দিয়েছি। এখন কি পুলিশ, কি বিচার প্রার্থী জনগন পত্যেকের মধ্যে কিন্তু এই জিনিসটা আসে যে বিচার কাজ শুর হয়েছে। এখানে আমরা সকলে সকলের পরিপূরক।