মঙ্গলবার ● ৩০ মে ২০২৩
প্রচ্ছদ » উন্নয়ন-সম্ভাবনা » ঠাকুরগাঁওয়ে বায়োফার্টিফাইড জিংক ধান ও চাল সংগ্রহের বিষয়ে সমন্বয় সভা
ঠাকুরগাঁওয়ে বায়োফার্টিফাইড জিংক ধান ও চাল সংগ্রহের বিষয়ে সমন্বয় সভা
দেশায়ন ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ে বায়োফার্টিফাইড জিংক ধান ও চাল সংগ্রহের বিষয়ে জেলা পর্যায়ের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বিকেলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের কার্যালয়ের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে ও গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রোভড নিউট্রিশন (গেইন) এর সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: আবু বকর, আন্তর্জাতিক পুষ্টি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান গেইনের কর্মকতা কৃষিবিদ মনির উদ্দিন, ঠাকুরগাঁও বীজ প্রত্যায়ন এজেন্সির অফিসার আনিসুর রহমান, ঠাকুরগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, মেসার্স কাশেম হাসকিং মিলের মালিক মো: আবুল কাশেম, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষ্ণ রায়, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবুল বাশার প্রমুখ।
সভায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কৃষি অফিসার, বিভিন্ন এলাকার কৃষক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। কৃষকেরা কি উপায়ে জিংক ধান লাগাতে পারবেন, বীজ কিভাবে পাবেন, এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগ থেকে কি কি পরামর্শ ও সেবা গ্রহন করতে পারবেন এবং জিংক ধানের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় সভায়। এছাড়াও কৃষি সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমুহে কৃষকেরা কিভাবে সহজে জিংক সমৃদ্ধ ধান-চাল প্রদান করতে পারবেন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সমন্বয় সভায় আরও জানানো হয়, জিংক অনুপুষ্টির অভাবে শিশুসহ সকল মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, শিশুর ঘন ঘন ডায়রিয়া হয়, শিশুর শারিরীক ও মেধার বিকাশ ব্যহত হয়, শিশুরা বেঁটে হয়ে যায়, নারীদের সন্তান ধারণ ক্ষমতা বাধাগ্রস্থ হওয়াসহ নানা ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। জিংকের পুষ্টি, পরিবারের তুষ্টি, পরিবারের তুষ্টি, জিংক চালের পুষ্টি। জিংক চালের পুষ্টিগুন রোগ বালাই করবে দূর। জিংক চালের পুষ্টিগুণে, বাড়বে শিশু দেহ মনে!
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট (ব্রি) এবং বাংলাদেশ পরামাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) এর বিজ্ঞানীর উচ্চ মাত্রার জিংক সমৃদ্ধ ও উচ্চ ফলনশীর ব্রিধান ৭৪, ব্রিধান-৮৪, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, ব্রিধান-১০২, এবং বিনা ধান ২০ উদ্ভাবন করেছে। এই চালের প্রতি কেজিতে রয়েছে ২৪ থেকে ২৭ মিলিগ্রামের বেশী জিংক যা পরিবারের সবার পুষ্টি নিশ্চিত করে। জিংক চাল শিশু, কিশোর, কিশোরী, গর্ভবতী মহিলা ও পরিবারের সবার জন্য বিশেষ উপকারী। জিংক চালের প্রচারনায় রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়। সহযোগিতায় রয়েছে গেøাবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রোভড নিউট্রিশন (গেইন)।